মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৪ অপরাহ্ন

রাজউক কর্মচারীদের জমিও গোল্ডেন মনিরের পেটে

রাজউক কর্মচারীদের জমিও গোল্ডেন মনিরের পেটে

স্বদেশ ডেস্ক:

স্বর্ণের চোরাকারবারি মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনির রাজউকেই তার নিজের একটি কার্যালয়ও করেছিলেন। অথচ এ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জমিও অবৈধভাবে কব্জা করতে দ্বিধা করেননি। রাজউক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য উত্তরায় বরাদ্দ প্রায় দেড় একর জমি নিজের দখলে নিয়ে নিয়েছেন মনির। আর তার এ অপকর্মের দোসর খোদ রাজউকেরই কর্মচারী বহুমুখী সমিতির নেতারা। তাদের ‘ম্যানেজ’ করেই এ জমি ক্রয়ের আমমোক্তারনামা করেন মনির হোসেন।

সূত্রমতে, কয়েক বছর আগে উত্তরা আবাসিক এলাকার ১১নং সেক্টরে ৯০ দশমিক ২৫ কাঠা জমি বরাদ্দ পায় রাজউক কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি। এ জমির উন্নয়নে স্বদেশ প্রপার্টিজ হাউজিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে। পরে গত বছরের ১৯ মার্চ প্রায় ১৫০ কোটি টাকা মূল্যের এ জমিটি কিনে নেন মনির। রাজউকের সহকারী পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) মো. আসাদুজ্জামান বিশ্বাসের নামজারিকৃত পত্রে বলা হয়, ‘প্লটের পূর্বের

লিজগ্রহীতা রাজউক কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির পক্ষে সভাপতি মো. আব্দুল মালেক মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আওরঙ্গজেব সিদ্দিকীর (নান্নু) পক্ষে নিযুক্তীয় আমমোক্তারনামা স্বদেশ প্রপার্টিজের পরিবর্তে অত্র দপ্তরের রেকর্ডপত্রে স্থানান্তরসূত্রে আপনার নামে (আলহাজ্ব মো. মনির হোসেন) রেকর্ডভুক্ত ও নামজারি করা হইল। এখন হইতে আপনাকে/আপনাদের উক্ত প্লটের হস্তান্তরসূত্রে লিজগ্রহীতা/গ্রহীত্রী হিসেবে গণ্য করা হইবে।

রাজউক কর্মচারী বহুমুখী সমিতির একাধিক সদস্য জানান, জায়গাটি উন্নয়ন ও ভবন নির্মাণের জন্য একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল। পরে গোল্ডেন মনিরের কাছে বিক্রির কথা শুনেছি, তবে আমরা কোনো কিছু পাইনি। নেতারা ভালো জানেন। এ নিয়ে কথা বললেই বিপদ।

এ বিষয়ে কথা বলতে রাজউক বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রকল্প এলাকায় রাজউকের প্রায় দুই বিঘা (৬০ শতাংশ) জায়গা দখল করে মাছের আড়ত বসিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে। গোল্ডেন মনিরের স্থানীয় সহযোগীদের মাধ্যমে তিনি সরকারি জায়গা দখলে রেখে এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়েও এতদিন নীরব ছিলেন রাজউক কর্মকর্তারা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজউকের বাড্ডা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুল হক আমাদের সময়কে বলেন, এ জায়গা রাজউকের পক্ষ থেকে কাউকে দেওয়া হয়নি। এটা রাজউকের জায়গা। জমিটির বেদখল হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। বিস্তারিত বলতে পারছি না।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877